ঈদের ছুটি না কাটিয়ে কী পেতে চান নিগাররা

ঈদের আগের দিন সবার যখন বাড়ি ফেরার তাড়া, তখন নিগার সুলতানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়েছিলেন অনুশীলনের ছবি। মিরপুরে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তখন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রস্তুতি চলছিল। সামনে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ। ওই টুর্নামেন্টের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নিগাররা। বাছাইয়ে খেলতে আগামীকাল ৩ এপ্রিল সকালে লাহোরের বিমান ধরবে নারী ক্রিকেট দল।

এবারের ঈদটা তাই পরিবারের সঙ্গে কাটেনি নারী ক্রিকেটারদের। কিছুটা হলেও যে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সেটা বোঝা গেল আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে নিগারের কথা শুনে, ‘প্রস্তুতির জন্য এই ঈদের ছুটিতে বাসায় যেতে পারিনি। ঈদের আগের দিনও অনুশীলন করতে হয়েছে।’

তবে বিশ্বকাপের গুরুত্বটা জানেন নিগার। সেখানে খেলার সুযোগ পেলে যে সেটা ঈদের আনন্দের চেয়েও বড় কিছু হবে, তা–ও বোঝেন। সে জন্যই তো এটাও বললেন, ‘আমরা সবাই জানি, দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই টুর্নামেন্ট। একটা দল যখন বড় একটা আইসিসি ইভেন্টে খেলে, তখন দলটাকে সবাই ভিন্নভাবে দেখে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে পারলে আইসিসির কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ মেলে। আমাদের ক্যারিয়ারের জন্য এটা অনেক বড় ব্যাপার। শেষবার যখন আমরা বিশ্বকাপ খেলেছি, তারপর কিন্তু আমাদের ম্যাচের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। সম্মানের দিক থেকে বলেন, আর্থিকভাবে বলেন, আমরা খেলোয়াড়রা অনেক লাভবান হয়েছি।’

ছয় দলের বাছাইপর্ব থেকে এ বছরের শেষে ভারতে হতে যাওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা পাবে দুটি দল। ৯ এপ্রিল শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ মাঠে নামবে পরের দিন, প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড। এরপর ১৩ এপ্রিল আয়াল্যান্ড, ১৫ এপ্রিল স্কটল্যান্ড, ১৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১৯ এপ্রিল স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন নিগাররা। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্টে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনাল।

এর আগে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে হওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেয় প্রথমবারের মতো। সেই আসরে ৮ দলের মধ্যে সপ্তম হয় বাংলাদেশ। এবারও বাছাইপর্ব পেরিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলার আশা নিগারের, ‘গতবারও আমাদের বাছাই পেরিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছে। এবারও একই ঘটনা। হয়তো আমাদের সুযোগ ছিল (সরাসরি খেলার), কিন্তু সেটা নিতে পারিনি। তবে বাছাইপর্ব যদি ভালো খেলতে পারি, সবার প্রত্যাশা তো এটাই, যেন বিশ্বকাপ খেলতে পারি।’

তো কেমন হলো নিগারদের প্রস্তুতি? অধিনায়কের কথা, ‘আমাদের যা যা করণীয় ছিল, যতটুকু আয়ত্তে ছিল করেছি। রোজা ছিল, তাই অনেক কঠিন ছিল অনুশীলন করা। আমরা ফ্লাডলাইটেও অনুশীলন করেছি, যেহেতু দুইটা ম্যাচ আমাদের দিবারাত্রির। সবাই অনেক সিরিয়াস এবং আজও আমরা অনুশীলন করছি। এখন পর্যন্ত ভালো প্রস্তুতিই বলা যায়। ওখানেই গিয়েও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। আমার মনে হয় টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দল পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *