পুলিশি হেফাজত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় অভিযানের সময় পুলিশের হেফাজত থেকে মশিউর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাত্রদল নেতা জয়নাল ভূঁইয়াসহ তাঁর লোকজন ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

মশিউর রহমান চাতলপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। দুপুরে একই স্থান থেকে চাতলপাড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুপ রায়কেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জয়নাল ভূঁইয়া চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে চাতলপাড় ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি অরুপ রায় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানকে পৃথকভাবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল ভূঁইয়া, তাঁর সঙ্গী সোহেল মিয়াসহ কয়েকজন পুলিশের গতি রোধ করেন এবং মশিউরকে ছিনিয়ে নেন। পরে এ ঘটনায় জয়নাল ভূঁইয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুপ রায়কে আটক করা হয়েছে। তবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান দৌড়ে পালিয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘কাউকে ছিনিয়ে নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ তাহলে ছাত্রদল নেতা জয়নাল ভূঁইয়াকে কেন থানায় নেওয়া হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেননি।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়, আরেকজন পালিয়ে যান। কাউকে হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি। ছাত্রদল নেতা জয়নালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।’এদিকে জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সমীর চক্রবর্তী বলেন, ‘মশিউর ও জয়নাল সৎভাই। পারিবারিক বিরোধ থেকে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কাউকে ছাড়িয়ে নেওয়ার কোনো ঘটনা হয়নি। এখন জয়নাল পুলিশি হেফাজতে আছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *