ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশি

প্রবারণা পূর্ণিমা শুধুই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি উৎসব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজ আমরা সবাই এখানে জমায়েত হয়েছি এবং এই উৎসব সকলের জন্য। আমি আনন্দিত যে চট্টগ্রামে উৎসব মুখর পরিবেশে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করা হচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের সার্থকতা। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশি।

তিনি গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নগরের বৌদ্ধ মন্দির চত্বরে সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে প্রবারণা পূর্ণিমার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রাক্তন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সামশুল আলম।

আমীর খসরু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমার সামনে পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদ দেখা যাচ্ছে। অপূর্ব এই দৃশ্যের সঙ্গে যে আনন্দঘন পরিবেশে মানুষ জমায়েত হয়েছেন, তা চট্টগ্রামের ইতিহাসে বিরল। আজকের প্রবারণা পূর্ণিমার সার্থকতা এটাতেই।

তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে আমাদের ধর্ম ও ইতিহাসকে সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ। আমরা একসাথে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশে আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যা দেখা যাচ্ছে, তা আমাকে অত্যন্ত আনন্দিত করেছে। আমরা জাতীয়তা ও ঐক্যের মাধ্যমে দেশ গড়ার চিন্তা করছি, এবং আজকের উৎসব আমাকে সেই পথে অনুপ্রাণিত করছে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এবং চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমার লক্ষ্য এই শহরকে ক্লিন, গ্রিন, হেলদি অ্যান্ড সেফ সিটি হিসেবে গড়ে তোলা। এজন্য সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও গোষ্ঠীর মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর ও নিরাপদ নগরী গড়ে তুলতে পারি। বক্তব্যের শেষে তিনি কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে নহে কিছু বড়, নহে কিছু মহীয়ান, গাহি সাম্যের গান, যেখানে মিশেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিষ্টান।

এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, প্রবারণা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমরেশ বড়ুয়া চৌধুরী, অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়কারী ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রুবেল বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির নির্বাহী সদস্য ও চসিকের প্রাক্তন নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, উদযাপন পরিষদের সদস্য প্রকৌশলী রনি বড়ুয়া চৌধুরী, তাপস বড়ুয়া, নন্দন বড়ুয়া সাজু, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, সজল বড়ুয়া, সুমন বড়ুয়া, জুয়েল বড়ুয়া, কল্লোল বড়ুয়া, প্রকৌশলী চয়ন বড়ুয়া, সুজন কান্তি বড়ুয়া, সৌরভ চৌধুরী, পিয়াল বড়ুয়া রোহান, উদাস বড়ুয়া দোলন,

প্রকৌশলী জয়তু বড়ুয়া, অনুপম বড়ুয়া, পিয়াস বড়ুয়া জয়, রুপেশ বড়ুয়া, প্রকৌশলী বিজয় বড়ুয়া, জুয়েল বড়ুয়া, প্রকৌশলী সীমান্ত বড়ুয়া, রোটারিয়ান সজীব বড়ুয়া ডায়মন্ড, অনুকর বড়ুয়া, দিবাকর বড়ুয়া জিংকি, কল্লোল বড়ুয়া, লায়ন ছোটন বড়ুয়া, সুষেন বড়ুয়া ছোটন, বনরূপ বড়ুয়া অমি, রূপক বড়ুয়া, সুস্ময় বড়ুয়া, জয় বড়ুয়া, উৎসব বড়ুয়া, চৈতী বড়ুয়া প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *