নগরীর টাইগারপাস ও পাহাড়তলী রেলওয়ে কলোনিতে অবৈধ বাসা ভাড়া ও দখল: রাজনৈতিক আশ্রয়ে চলছে বিশাল বাণিজ্য

নগরীর টাইগারপাস ও পাহাড়তলী রেলওয়ে কলোনিতে ৫ হাজার ৩২৯টি বাসার মধ্যে বেশিরভাগেই থাকেন না রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বরং, এসব বাসায় অবৈধভাবে বসবাস করছেন বহিরাগতরা, এবং অনেক ক্ষেত্রে রেলের কর্মচারীরা এসব বাসা ভাড়া দিয়ে আয় করছেন। রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানালেও দীর্ঘ বছর ধরে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহাবুব উল করিম জানান, যারা সরকারি কোয়ার্টারে থাকা সত্ত্বেও বাইরের লোকদের ভাড়া দেন, তাদের বরাদ্দ বাতিল করার কথা। তবে, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে, বিশেষত যখন কোয়ার্টারের সামনে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, টাইগারপাস ও পাহাড়তলী রেলওয়ে কলোনির স্টাফ কোয়ার্টারের সামনের খালি জায়গায় অবৈধভাবে সেমিপাকা ও কাঁচা ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেয়া হচ্ছে। রেলওয়ের কর্মচারীরা তাদের নামে বরাদ্দ বাসাগুলো বাইরের লোকদের কাছে ভাড়া দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে, ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে এককালীন ১ থেকে ২ লাখ টাকা নেওয়া হয় এবং মাসিক ভাড়া ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

পাহাড়তলীতে রেলের এক কর্মকর্তা ও আরএনবির সদস্যরা অসংখ্য স্থানে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে ভাড়া বাণিজ্য চালাচ্ছেন। পাশাপাশি, সিআরবির আশপাশে রেলওয়ের কিছু সদস্যের তত্ত্বাবধানে ভাসমান দোকান বসিয়ে মাসিক টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়া, জান আলী হাট স্টেশন ও কাপ্তাই রাস্তা এলাকাতেও একই চিত্র দেখা গেছে। রেলের সরকারি বাসাগুলোর খালি জায়গায় অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেয়া হচ্ছে, যার মধ্যে বেশিরভাগ বাসায় বহিরাগতরা বসবাস করছেন।

সরকারি কোয়ার্টারগুলো ভাড়া দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করা হচ্ছে, এবং এই অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রিত শক্তিশালী চক্রও জড়িত। যদিও রেলওয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি জানেন, তবে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এমন অবস্থায়, সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি ও জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *