হলুদ দুধ কখন পান করা উচিত? 

হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। তাই বহু আগে থেকে ভেষজ চিকিৎসায় এর ব্যবহার হয়ে আসছে। এদিকে দুধ সুপারফুড। দুধেরও রয়েছে বহু গুণ। দুধ ও হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।   

হলুদ দুধ পান করলে কী কী উপকার পাবেন

হলুদ দুধে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে এ উপাদানগুলো। 

হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া গরম দুধ গলা  ব্যথা ও অস্বস্তিতে আরাম দেয়। সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে এ পানীয়।  

হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বককে ফ্রি র্যা ডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। বিভিন্ন প্রদাহ কমায় এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। 

নিয়মিত হলুদ দুধ পান করলে তা বিপাক হার বাড়ায়। বিপাক হার বাড়লে অতিরিক্ত মেদ দ্রুতগতিতে কমাতে শুরু করে। 

হলুদের কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা শারীরিক প্রদাহ এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক অস্বস্তি এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে হলুদ দুধ।  

হলুদ দুধ মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে। যাদের ইনসমনিয়া অথবা ঘুমের সমস্যা আছে তারা হলুদ দুধ পান করলে উপকার পাবেন।

শরীরে কোনো আঘাত পেলে হলুদ মিশ্রিত দুধ পান করুন। এতে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যে, যা ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে। 

হলুদ দুধ কখন পান করবেন?

রাতে ঘুমানোর আগে: প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম হলুদ দুধ পান করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। ঘুম ভালো হবে। 

সকালে খালি পেটে: সকালে খালি পেটে হলুদ দুধ পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এছারা সারাদিন কর্মক্ষম থাকতে পারবেন।  

ঋতু পরিবর্তনের সময়: ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা লাগা, হাঁচি-কাশি-সর্দি সমস্যা বাড়ে। এ ধরনের শারীরিক সমস্যা এড়াতে হলুদ দুধ প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে কাজ করে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *