স্ক্রিন টাইম কমাবেন কীভাবে?

আজকাল ছোট থেকে বড়, প্রায় সবাই দিনের একটা বড় অংশ কাটান মোবাইল দেখে। রিলস দেখা, গেম খেলা, সামাজিক মাধ্যম চালানো কিংবা কোনো সিরিজ দেখা চলে দিনভর। স্বাভাবিকের তুলনায় এভাবে স্ক্রিন টাইম বেড়ে গেলে শরীরে দেখা দিতে পারে অনেক সমস্যা। চোখের সমস্যার পাশাপাশি রাতে ঘুমের সমস্যাও হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত স্যোসাল মিডিয়া স্ক্রলিংয়ের কারণে মানসিক চাপ, স্ট্রেস বাড়তে পারে। দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যাও। এ কারণে স্ক্রিন টাইম কমানো অত্যন্ত জরুরি। বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও স্ক্রিন টাইম কমানো প্রয়োজন। 

স্ক্রিন টাইম কমাতে যা করতে পারেন

১. সোশ্যাল মিডিয়া ডিটক্স খুবই জরুরি বিষয়। একদিনে নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। বরং সোশ্যাল মিডিয়ায় সব অ্যাকাউন্ট একদিনে ইন-অ্যাক্টিভ না করে, ধীরে ধীরে একটা একটা করে অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিন। আপনি ফোনে যেসব অ্যাপ ব্যবহার করেন, সেগুলি একদিনে একসঙ্গে ডিলিট না করে, ধীরে ধীরে একটা একটা করে অ্যাপ ডিলিট করুন। বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, অ্যাপের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমানোর চেষ্টা করুন। 

২. স্ক্রিন টাইম কমাতে চাইলে, নিজের অন্যান্য শখের দিকে নজর দিন। ছবি আঁকা, গানের রেওয়াজ, বই পড়া বা অন্যান্য যেকোনও শখ বা অভ্যাস যা আপনার রয়েছে, সেগুলিতে মনোযোগ দিন। তাহলে দেখবেন ফোন দেখার আগ্রহ কিছুটা কমছে। তখন বারংবার সোশ্যাল মিডিয়া খুলে স্ক্রল করার সময়ও কমবে। 

৩. যারা স্ক্রিন টাইমিং কমাতে চাইছেন তারা নিজেকে প্রথম প্রথম সময় বেঁধে নিন। নিজেই ঠিক করুন কাজের বাইরে কতক্ষণ ফোন ঘাঁটবেন। কতক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটবেন, কতক্ষণ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ওয়েব সিরিজ কিংবা সিনেমা দেখবেন । নিজেকে সময় দিয়ে তা মেনে চলার চেষ্টা করুন।
 
৪. মেসেজ নয়, ফোনে কথা বলুন । ফোনে না পড়ে বই পড়ুন হার্ড কপি হিসেবে। বাগান করার শখ থাকলে সেদিকে মন দিন। খাওয়া আর ঘুমাতে যাওয়ার সময় ফোন থেকে দূরে থাকুন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *