ভালো থাকার সহজ উপায়

ভালো থাকতে কেন চা চায়? কিন্তু মানুষ সারাক্ষণ তার জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রান্তি নিয়ে এত বেশি হা -হুতাশ করতে থাকে যে ভালো থাকাটাই ভুলে যায়। অথচ ভালো থাকার জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন, অভ্যাস তৈরি করলে আপনি মনে শান্তি খুঁজে পাবেন। ভালো থাকতে পারবেন।   

সকালটা শুরু হোক আস্তে ধীরে 

ভোরে উঠার চেষ্টা করুন। তাহলে নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করতে পারবেন। দিনের ব্যস্ততা শুরুর আগে নিরিবিল কোনো জায়গায় বসে দশ মিনিট শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। ভালো হয় কিছুক্ষণের জন্য হলেও মেডিটেশন করতে পারলে। 

প্রতি সপ্তাহে ছোট ছোট জিনিস বাদ দিন 
আপনার আলমারি এমন কিছু পোশাক থাকতে পারে যা হয়তো আপনি বছরের পর বছর পরছেন না। এমন পোশাক বেছে বেছে অন্যকে দিয়ে দিন। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করু ঘরের ছোটখাটো জিনিস বাদ দিতে, যা আপনার কাজে লাগে না। অথচ ঘরেই পড়ে আছে দিনের পর দিন।যত এমন সব জিনিস বাদ দেবেন ততই মন হালকা হবে। 

বর্তমান মুহুর্তের সাথে নিজের যোগাযোগ স্থাপন
সব কিছু থেকে মাঝে মধ্যে বিরতি নিন। সূর্যের আলো, বৃষ্টির গন্ধ, কারও হাসির শব্দ, প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোহ করুন। আমরা শুধু অতীত- ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে থাকি, কিন্তু বর্তমানে যেসব আনন্দের উপাদান রয়েছে তা উপভোগ কেরতে ভুলে যাই। 

নিজের সঙ্গে কথা বলুন 
নিজেই নিজের সমালোচনা করুন। ‘আমার আরও ভাল করা উচিত ছিল’ এমন বাক্যেv পরিবর্তে ‘আমি আজকের জন্য আমার সেরাটা করেছি’ এমন সব বাক্য 
ব্যবহার করুন। এর মানে এটা নয় যে আপনি নিজের ভুল উপেক্ষা করছেন বরং অন্যদের ব্যাপারেও আপনি সহানুভূতিশীল থাকবেন। 

কৃতজ্ঞতা দিয়ে দিনটি শেষ করুন
ঘুমানোর আগে, তিনটি জিনিসের কথা ভাবুন যা সঠিকভাবে হয়েছে – তা যত ছোটই হোক না কেন। এটি হতে পারে একটি কাজ শেষ করা, কাউকে ভালো সংবাদ দেওয়া অথবা কেবল একটি কঠিন দিন পার করা। সব কিছুর জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন। কৃতজ্ঞ হলেই সমস্যা কমবে বিষয়টি তা নয়- তবে এটি যা কিছু ভালো হয়েছে তা মনে করিয়ে দেয়।

আমাদের জীবনযাপন পদ্ধতি একদিনেই পরিবর্তন হবে না। তবে যত্ন এবং সচেতনতা নিয়ে দিন শুরু করলে অনেকটা ভালো থাকা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *