ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভার্চুয়াল ভাষণ দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলের সব রকম চেষ্টার বিপরীতে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূমিতে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করবেন। তিনি বলেন, “আমাদের মানুষ জলপাই গাছের মতো মাটিতে মূল গেঁথে থাকবে। পাথরের মতো দৃঢ়, আমরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উঠে নিজের দেশ পুনর্গঠন করব।”
আল জাজিরা-এর প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভাষণে আব্বাস আরও বলেন, “আমাদের ক্ষত যতই গভীর হোক, আমাদের কষ্ট যতই দীর্ঘায়িত হোক, তবুও এটি আমাদের বাঁচার এবং টিকে থাকার ইচ্ছাকে ভেঙে দিতে পারবে না। আমরা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রে বসবাস করতে চাই, ১৯৬৭ সালের সীমান্তে পূর্ব জেরুসালেমকে আমাদের রাজধানী হিসেবে ধরে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি ও নিরাপত্তায়।”
তিনি আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যদি ন্যায় প্রতিষ্ঠা না হয়, শান্তি সম্ভব নয়, এবং যদি ফিলিস্তিন মুক্ত না হয়, ন্যায়ও সম্ভব নয়। এখন আন্তর্জাতিক সমাজের সময় এসেছে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সঠিক কাজ করার, যেন তারা অবৈধ দখল থেকে মুক্তি পায় এবং ইসরাইলি রাজনীতির বন্দিত্বে না থাকে।”
ইহুদি বসতি প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন, “সেটলাররা দিনের আলোয় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সুরক্ষায় ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। তারা ঘর, ক্ষেত ও গাছ পোড়ায়, গ্রাম আক্রমণ করে এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর হামলা চালায়।”
তিনি আরও বলেন, জেরুসালেম, হেব্রন এবং গাজা উপত্যকায় ইসলামিক ও খ্রিস্টান ধর্মীয় স্থাপনার ওপর হামলা সমালোচনা করে বলেন, “মসজিদ, চার্চ ও সমাধিস্থলগুলো ধ্বংস করা হয়েছে, যা ঐতিহাসিক স্থিতিকাঠামোর স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিস্ঠার স্পষ্ট উল্লঙ্ঘন।”
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি তার এই দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে ন্যায়ের দাবি পুনর্ব্যক্ত করার মাধ্যমে, আব্বাস ফিলিস্তিনের অবস্থা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চান।