ভয়াবহ বন্যার বিরুদ্ধে লড়ছে শ্রীলঙ্কা

বাড়তে থাকা বন্যার পানিতে আটকে পড়া শত শত লোককে উদ্ধারে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কার সেনাদের। খবর বিডিনিউজের।

ভয়াবহ এ দুর্যোগ দ্বীপদেশটিতে অন্তত ১২৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের (ডিএমসি) বরাত দিয়ে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থা। নিখোঁজ ১৩০ জন। ডিএমসির মহাপরিচালক সামপাথ কোতুওয়েগোদা জানান, সপ্তাহব্যাপী টানা বৃষ্টিতে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ৪৪ হাজার লোককে রাষ্ট্র পরিচালিত বিভিন্ন কল্যাণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। হেলিকপ্টার ও নৌবাহিনীর নৌকা অসংখ্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে; গাছের মগডাল, বাড়ির ছাদ ও বন্যায় বিচ্ছিন্ন গ্রাম থেকে অনেককে তুলে আনা হয়েছে। ডিএমসি বলেছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যাঞ্চল থেকে আরও মৃতদেহ পাওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। মধ্যাঞ্চলে নিহতদের বেশিরভাগই মারা গেছে কয়েকদিনের ভূমিধসে জীবন্ত মাটিচাপা পড়ে। ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার প্রভাবে শ্রীলঙ্কাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত আছে, কোনো কোনো এলাকা ২৪ ঘণ্টায় ৩৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিও রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছে ডিএমসি। রাজধানী কলম্বোর কাছে ভারত মহাসাগরে মিশে যাওয়া কেলানি নদীর তীর উপচে অনেক এলাকায় পানি ভেতরে ঢুকে পড়েছে। ৫৬ বছর বয়সী ভিএসএ রত্নায়েকে প্যারিসভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বন্যার পানি ঘরের ভেতর ঢুকে যাওয়ায় তিনি কাদুওয়েলায় নিজের বাড়ি থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। কাদুওয়েলা কলম্বোর পাশেই অবস্থিত। আমার মনে হয় এটা গত তিন দশকের মধ্যে আমাদের এলাকায় সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। ১৯৯০ এর দশকে একটা বন্যার কথা মনে পড়ছে, যখন আমার ঘর ৭ ফুট পানির নিচে ছিল, বলেছেন তিনি। কাদুওয়েলার আরেক বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়সী কল্যাণী জানিয়েছেন, তিনি বন্যার পানি ঘরে ঢুকে যাওয়া দুটি পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *