দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক মুহান্নাদ সেলুম বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা পরিকল্পনা অনেকে কার্যকর মনে করলেও এতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনও অস্পষ্ট রয়েছে। আল-জাজিরার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সেলুম বলেন, বন্দিদের মুক্তির পরে হামাস যোদ্ধারা যদি নির্বাসনে যেতে চান, তাহলে তাদের প্রক্রিয়াকরণ কিভাবে হবে—এটি পরিষ্কার নয়। গাজার বাইরে গিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হওয়া ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের অবস্থার ব্যবস্থা, পুনর্বাসন ও প্রক্রিয়াকরণ কিভাবে করা হবে তাও পরিকল্পনায় সুস্পষ্ট নয়।
ত zudem তিনি প্রশ্ন তোলেন, গাজায় প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী কে গঠন করবে — জাতিসংঘ নাকি যুক্তরাষ্ট্র, কিংবা কোন কোন দেশ সেনা পাঠাতে রাজি হবে। কারণ এর সঙ্গে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের পাশাপাশি বড় পরিমাণ অর্থ ও নিরাপত্তা-সম্পর্কিত দায়ও জড়িত রয়েছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে উত্থাপিত ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য তিন-চার দিন সময় দিয়েছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন যে সব আরব ও মুসলিম দেশসহ ইসরাইল ইতিমধ্যেই পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে এবং এখন শুধু হামাসের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা চলছে। তিনি বলেন, হামাস রাজি না হলে তা “খুবই দুঃখজনক” ফল হবে।